একটা সময় ছিল যখন স্কিন কেয়ার মানেই সিম্পল ক্লেঞ্জিং, টোনিং আর ময়েশ্চারাইজিং; এই স্টেপসগুলো সম্পর্কে আমাদের বেশ ভালো ধারণা আছে ফলে মেইনটেইন করাও বেশ সহজ ছিল। কিন্তু কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ড তথা গ্লাস স্কিন কেয়ার ট্রেন্ড এর কল্যাণে এখন এসেছে ১২ স্টেপ স্কিন কেয়ার রুটিন। এই স্টেপগুলো সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট কোন ধারণা এখনো গড়ে উঠে নি! এমনকি আমিও আগে ভালভাবে বুঝে উঠতাম না; আমার ক্ষেত্রে এই রুটিন ঠিক কোন উপায়ে মেইনটেইন করলে বেস্ট আউটপুট পাবো। ফেইস অয়েল, সিরাম ও এসেন্সের মধ্যে পার্থক্য জানেন কি? আজকে আমি আলোচনা করবো কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ডের এই ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিয়ে। সে সাথে জানবো এগুলো ব্যবহারে উপকারিতা, কোন স্কিনের জন্য কোনটা উপযোগী এসব নিয়ে।
ফেইস সিরাম, এসেন্স ও অয়েলের মধ্যে পার্থক্য জানার জন্য প্রথমেই জানতে হবে এগুলোর কাজ সম্পর্কে। জেনে নিন, ত্বকের যত্নে কীভাবে কাজ করে এই ৩ ধরনের বিউটি প্রোডাক্ট।
এই ধরনের অয়েল মূলত আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড করে এবং হাইড্রেশন লক করে। সাধারনত এতে ভিন্ন ধরনের প্ল্যান্ট অয়েল, অ্যাসেনশিয়াল অয়েল এর মিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে; যা আপনার স্কিনকে সফট করার পাশাপাশি একটা হেলদি গ্লো দিবে।
ফেইস সিরামে অনেক বেশি অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে; যেমন, হায়ালুরনিক এসিড, ভিটামিন সি, গ্লাইকলিক এসিড এবং; এরকম আরও অনেক উপাদান যেগুলো সরাসরি স্কিনের নির্দিষ্ট কিছু সমস্যার সমাধান করে। আপনার ত্বকে যে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন তা অনুযায়ী ফেইস সিরাম চুজ করতে হবে। যেমন; অ্যান্টি এজিং বা স্কিন ব্রাইটেনিং অথবা ইলাস্টিসিটি ইম্প্রুভ করার জন্য সঠিক উপাদান বুঝে ফেইস সিরাম চুজ করতে হবে। অবশ্যই এসেন্স ব্যবহারের পরে এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আগে ব্যবহার করতে হবে। এবং ফেইস সিরাম ব্যবহারের পর অন্য কোন প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় দিতে হবে; যাতে সিরাম ভালোভাবে আপানার ত্বক শোষণ করতে পারে।
কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ডের অন্যতম জনপ্রিয় প্রোডাক্ট হচ্ছে এসেন্স। ফেইস এসেন্স হচ্ছে একটি ওয়াটার বেসড স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট যাতে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যাক্টিভ ইনগ্রিডিয়েন্টস থাকায়-
ফেইস এসেন্সের একদম প্রাইমারী রোল হচ্ছে; স্কিনে সিরাম, ময়েশ্চারাইজার যেটাই ব্যবহার করুন না কেন; সেটা যাতে খুব ভালোভাবে স্কিন শুষে নিতে পারে; সেভাবে স্কিনকে রেডি করে দেয়। ময়েশ্চারাইজড করার পাশাপাশি যেহেতু এসেন্সে অনেক বেশি পরিমাণে এক্টিভ ইনগ্রিডিয়েন্টস থাকে; তাই এটি-
তাহলে ফেইস অয়েল, সিরাম ও এসেন্সের মধ্যে পার্থক্য জানলেন। সেই সাথে কোনটা কীভাবে আপনার ত্বকে কাজ করে সেটাও জেনে নিলেন। আশা করছি, এখন থেকে ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দের প্রোডাক্টটি খুঁজে নিতে পারবেন। অথেনটিক সিরাম, এসেন্স ও অয়েল কিনতে স্কিনকেয়ার শপের ফেইসবুক পেজ ও ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না!
Copyright © 2021 SKINCARE SHOP - Developed By SKINCARE SHOP.
Copyright © 2021 SKINCARE SHOP - Developed By SKINCARE SHOP.